মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ৭টায় কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুর ভিক্টোরিয়া কলেজ সংলগ্ন পূর্ব দৌলতপুর এলাকার এসআরটি প্যালেসের বাসায় এ  ঘটনা ঘটে।

এক পর্যায়ে মেয়েটি দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে নিজেকে আত্মরক্ষা করেন। পরে পাশের ভবনের কয়েকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। পরে তারা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ দগ্ধ ওই গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যায়।

সুমাইয়ার বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামে।

ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তার জানান, আবু তাহেরের মেয়ে ফাহমিদা তিমুর ঢাকার বাসা ও আবু তাহেরের কুমিল্লার বাসায় চার বছর ধরে কাজ করছে। কাজে দেরি হলে তাহেরের স্ত্রী ও মেয়ে তিমু বেত দিয়ে মারধর করে এবং গরম পানি ঢালে। একদিন আগে গরম পানি ঢেলে পা ঝলসে দেয়। আজও মারের পর গরম পানি ঢালতে চাইলে দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়েন।

পরে পাশের মেয়েদের হোস্টেলে গিয়ে আশ্রয় নেন।

পাশের হোস্টেলের জারা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা উপরে চিৎকার চেচামেচি শুনি। পরে দেখি ছোট একটি মেয়ে আমাদের আশ্রয় চায়। তার পা ঝলসে যাওয়া। পরে আমরা পুলিশকে জানিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

অভিযোগের বিষয়ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু তাহের বলেন, “মেয়েটি আমাদের আত্মীয়ের মধ্যে। মেয়ের শ্বশুরের এলাকা দেবিদ্বারে তার বাড়ি। আমি ও আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ। কিছুদিন আগেও আইসিইউতে ছিলাম। আজ আমি বাইরে ছিলাম। আমার স্ত্রী জানিয়েছেন তাকে মারধর করা হয়নি।”

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, মেয়েটির পা ঝলসে গেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।